উয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। এটি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। যারা প্রকৃতি ভালোবাসে, তাদের জন্য লাউয়াছড়া যেন এক টুকরো স্বর্গ। এখানে গেলে দেখা মিলবে সবুজ গাছপালা, নানা ধরনের পাখি আর বন্যপ্রাণী। ভাবছো, “লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ” কিভাবে করব? চিন্তা নেই! এই আর্টিকেলে তুমি লাউয়াছড়া সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবে। কিভাবে যাবে, সেখানে কি কি দেখবে, আর খরচ কেমন হবে – সব তথ্য এখানে সহজ ভাষায় দেয়া আছে। লাউয়াছড়া ভ্রমণের পুরো মজা নিতে এই লেখাটি মন দিয়ে পড়। এই লেখাটি এমনভাবে লেখা হয়েছে যেন তুমি খুব সহজেই সব তথ্য বুঝতে পারো এবং তোমার লাউয়াছড়া ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারো। তাহলে চলো, লাউয়াছড়ার সবুজ দুনিয়ায় হারিয়ে যাই!
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান (Lawachara National Park)
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হলো বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বন, মানে যেখানে গাছপালা ও প্রাণীদের রক্ষা করা হয়। সরকার ১৯৯৬ সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। এই বনটি প্রায় ১২৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। ভাবো তো, কত বড় জায়গা! এখানে রয়েছে প্রায় ১৬৭ রকমের গাছ, ৪ রকমের উভচর প্রাণী (যারা জলে ও স্থলে থাকে), ৬ রকমের সরীসৃপ (যেমন সাপ, টিকটিকি), ২৪৬ রকমের পাখি আর ২০ রকমের স্তন্যপায়ী প্রাণী (যেমন বানর, হরিণ)। লাউয়াছড়ার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো উল্লুক। এরা খুব জোরে আওয়াজ করে আর লাফিয়ে বেড়ায়। এছাড়া এখানে চশমা পরা বানর, মায়া হরিণ আর নানা রঙের পাখিও দেখতে পাবে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, লাউয়াছড়া ভ্রমণ আরও মজার করে তুলতে বনের ভেতরে আছে ছোট ছোট ঝর্ণা। আর আছে হাঁটার জন্য সুন্দর পথ, যাকে বলে ট্রেইল। এই ট্রেইল ধরে হাঁটতে হাঁটতে তুমি বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কোথায় অবস্থিত?
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এটি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে। তার মানে, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে খুব সহজেই লাউয়াছড়া যাওয়া যায়। উদ্যানের এক পাশ দিয়ে গেছে ঢাকা-সিলেট রেলপথ, মানে যে লাইনে ট্রেন চলে। আর অন্য পাশ দিয়ে গেছে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়ক। সহজে যাওয়া যায় বলে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এখানে বেড়াতে আসে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কোথায় অবস্থিত সেটা এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো? এর চারপাশে রয়েছে সুন্দর চা বাগান আর পাহাড়। এই চা বাগান আর পাহাড় লাউয়াছড়ার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শ্রীমঙ্গল শহরকে বলা হয় “চা-য়ের রাজধানী”। শ্রীমঙ্গলের চা বাগান আর লাউয়াছড়ার সবুজ বন – এই দুটো মিলিয়ে জায়গাটা পর্যটকদের কাছে খুব প্রিয়। তুমি যদি গুগল ম্যাপে “লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান” লিখে খোঁজ, তাহলে সহজেই এর ঠিকানা আর যাওয়ার রাস্তা পেয়ে যাবে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ কিভাবে করবেন?
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যাওয়া খুবই সহজ। প্রথমে তোমাকে শ্রীমঙ্গল শহরে আসতে হবে। ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন আর গাড়িতে করে শ্রীমঙ্গল আসা যায়। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে তুমি সিএনজি অটোরিকশা, জিপ, বা গাড়ি ভাড়া করে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যেতে পারো। শ্রীমঙ্গল থেকে লাউয়াছড়া বেশি দূরে নয়, তাই যেতেও সুবিধা, আসতেও সুবিধা। তোমার নিজের গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই, সোজা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গেটে চলে যেতে পারবে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ -এর জন্য বনের ভেতরে হাঁটার জন্য আলাদা পথ করা আছে। এই পথগুলো ধরে হাঁটলে তুমি বনের আসল সৌন্দর্য দেখতে পাবে।
তুমি চাইলে গাইডও নিতে পারো। গাইড তোমাকে বনের বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখাবে, আর গাছপালা, পশুপাখি চেনাবে। গাইড নিলে তোমার ভ্রমণ আরও মজার হবে, কারণ তারা বনের অনেক লুকানো জায়গা চেনেন। ভ্রমণের সময় সঙ্গে পানি, হালকা খাবার আর দরকারি ওষুধ রাখা ভালো।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কিসের জন্য বিখ্যাত?
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বিখ্যাত তার নানান ধরনের গাছপালা আর জীবজন্তুর জন্য। এখানেই তুমি দেখতে পাবে বিরল প্রজাতির উল্লুক, যা সহজে অন্য কোথাও দেখা যায় না। উল্লুকের ডাক শোনা আর তাদের গাছে গাছে লাফালাফি করা দেখতে দারুণ লাগে। এছাড়াও, লাউয়াছড়ায় আছে চশমা পরা বানর, মায়া হরিণ, বন্য শুকর, আর কত রকমের রঙিন পাখি! বনের ভেতরে যে ছোট ছোট ঝর্ণাগুলো আছে, সেগুলোও খুব সুন্দর। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কিসের জন্য বিখ্যাত সেটা নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছো? আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, “অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ” নামের একটা বিখ্যাত ইংরেজি সিনেমার কিছু অংশের শুটিং হয়েছিল এই লাউয়াছড়ায়। এ কারণেও অনেকে লাউয়াছড়ার কথা জানে। ঘন সবুজ বন, পাখির ডাক, আর বন্যপ্রাণীর ছোটাছুটি – সব মিলিয়ে লাউয়াছড়া যেন প্রকৃতির এক জাদুঘর। যারা ছবি তুলতে ভালোবাসে, তাদের জন্যেও লাউয়াছড়া দারুণ একটা জায়গা। এখানে সুন্দর সুন্দর ছবি তোলার অনেক সুযোগ আছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এ যাওয়ার রুট
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যাওয়ার কয়েকটা রাস্তা আছে। তুমি যেখান থেকেই যাও না কেন, প্রথমে তোমাকে শ্রীমঙ্গল শহরে যেতে হবে।
- ঢাকা থেকে: ঢাকা থেকে তুমি বাস, ট্রেন আর প্লেনে করে শ্রীমঙ্গল যেতে পারো। বাসে যেতে চাইলে ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, বা মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে শ্রীমঙ্গলের বাস পাওয়া যায়। এসি আর নন-এসি – দুই ধরনের বাসই আছে। ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিলেটের ট্রেনে উঠে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নামতে হবে। আর প্লেনে যেতে হলে ঢাকা থেকে সিলেট বিমানবন্দরে গিয়ে সেখান থেকে গাড়ি বা বাসে করে শ্রীমঙ্গল যেতে হবে।
- সিলেট থেকে: সিলেট শহর থেকে বাস বা গাড়িতে করে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়। সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব খুব বেশি না।
- অন্যান্য শহর থেকে: বাংলাদেশের অন্য যেকোনো শহর থেকে প্রথমে তোমাকে সিলেট বা হবিগঞ্জ আসতে হবে। সেখান থেকে বাস বা গাড়িতে করে শ্রীমঙ্গল যেতে পারবে।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে তুমি সিএনজি অটোরিকশা, জিপ, বা গাড়ি ভাড়া করে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যেতে পারো। এই রাস্তাটাও খুব সুন্দর, রাস্তার দুই পাশে সবুজ চা বাগান দেখতে পাবে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এ যাওয়ার রুট গুলো বেশ সহজ, তাই চিন্তার কিছু নেই।
ঢাকা থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলো হলো বাস, ট্রেন আর গাড়ি।
- বাস: ঢাকা থেকে রোজ অনেক বাস শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই বাসগুলো সাধারণত সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, মহাখালী আর কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ে। বাসে যেতে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এসি বাসে ভাড়া একটু বেশি, আর নন-এসি বাসে ভাড়া একটু কম। সাধারণত ৫০০-১২০০ টাকার মধ্যেই ভাড়া হয়ে থাকে। শ্রীমঙ্গল বাস স্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে তুমি সিএনজি অটোরিকশা বা জিপ ভাড়া করে লাউয়াছড়া যেতে পারো।
- ট্রেন: ঢাকা থেকে ট্রেনে করেও লাউয়াছড়া যাওয়া যায়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিলেটের যেসব ট্রেন যায়, সেগুলোতে উঠে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নামতে হবে। যেমন ধরো, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস – এইসব ট্রেনে যাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগে। ট্রেনের ভাড়া ২৫০-১০০০ টাকার মধ্যে, এটা নির্ভর করে তুমি কোন ক্লাসে যাচ্ছো তার ওপর। শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে সিএনজি অটোরিকশা বা জিপ ভাড়া করে লাউয়াছড়া যেতে পারবে।
- গাড়ি: ঢাকা থেকে তুমি গাড়ি ভাড়া করেও লাউয়াছড়া যেতে পারো। নিজেরা গাড়ি নিয়ে গেলে সুবিধা হলো, ইচ্ছামতো যেখানে খুশি থামা যায়। গাড়িতে গেলে ৩-৪ ঘণ্টাতেই পৌঁছে যেতে পারবে। তবে, রাস্তার অবস্থার ওপর নির্ভর করে সময় কম-বেশি লাগতে পারে। ঢাকা থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান যাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে তোমার যেটা সুবিধা মনে হয়, সেটাই বেছে নিতে পারো।
শ্রীমঙ্গল পৌঁছে গেলে, লাউয়াছড়া যাওয়া একদম সহজ। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে লাউয়াছড়ার দূরত্ব মাত্র ৮ কি.মি.। তুমি সিএনজি চালিত অটো রিক্সা (ভাড়া প্রায় ২০০-৩০০ টাকা) অথবা লোকাল বাস (ভাড়া প্রায় ২০-৩০ টাকা) করে যেতে পারো।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এর প্রবেশ ফি
আচ্ছা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে লাউয়াছড়ায় প্রবেশ করতে হলে কি টিকিট কেটে ঢুকতে হয়।লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঢুকতে হলে টিকেট কাটতে হয়। তো লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান প্রবেশ ফি কত।টিকেট এর দাম সবার জন্য এক নয়। দেশি আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য আলাদা আলাদা দাম। এখন (২০২৪ সাল) প্রবেশ ফি এই রকম:
- বড়দের জন্য (যারা বাংলাদেশে থাকে): ৫০ টাকা।
- ছোটদের জন্য (যারা বাংলাদেশে থাকে): ২০ টাকা।
- যারা অন্য দেশ থেকে এসেছে: ৫০০ টাকা।
- গাড়ি রাখবার জন্য: ১০০-২০০ টাকা (গাড়ির আকারের ওপর নির্ভর করে)।
এই ফি কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বদলাতে পারে। তাই যাওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একেবারে সঠিক তথ্য জেনে নেয়া ভালো। টিকেট কেটে তুমি উদ্যানের ভেতরে ঢুকতে পারবে আর হাঁটাচলার পথে ঘুরতে পারবে। তুমি চাইলে গাইডও নিতে পারো, তার জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে। গাইডের জন্য ৫০০-১০০০ টাকা লাগতে পারে (দামাদামি করে ঠিক করে নিও)। টিকেট কাটার সময় অবশ্যই রসিদটা নিয়ে নেবে। এই রসিদটা ভ্রমণের সময় সাথে রাখবে, কারণ যেকোনো সময় এটা দেখতে চাইতে পারে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এর প্রবেশ ফি দিয়ে প্রবেশ করে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করা যাবে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কিসের জন্য বিখ্যাত?
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান অনেক কারণেই সুন্দর আর বিখ্যাত। এখানে কিছু বিশেষত্বের কথা বলা হলো:
- উল্লুক: লাউয়াছড়ার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো উল্লুক। এদের বাংলাদেশের অন্য বনে সহজে দেখা যায় না। উল্লুকের ডাক শোনা আর তাদের গাছে গাছে লাফালাফি করা দেখতে খুব মজা লাগে।
- নানা রকমের গাছপালা আর জীবজন্তু: লাউয়াছড়ায় আছে অনেক রকমের গাছ, প্রাণী আর পাখি। এখানে প্রায় ১৬৭ রকমের গাছ, ৪ রকমের উভচর প্রাণী, ৬ রকমের সরীসৃপ, ২৪৬ রকমের পাখি আর ২০ রকমের স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়।
- সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য: ঘন সবুজ বন, উঁচু উঁচু গাছ, আর বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট নদী – এসব লাউয়াছড়ার সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
- হাঁটার পথ: লাউয়াছড়ার ভেতরে হাঁটার জন্য সুন্দর পথ বানানো আছে। এই পথগুলো ধরে হাঁটলে তুমি বনের সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখতে পাবে।
- “অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ” সিনেমার শুটিং: লাউয়াছড়ার আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, এখানে “অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ” নামের একটা বিখ্যাত ইংরেজি সিনেমার কিছু অংশের শুটিং হয়েছিল।
- রেলপথ: লাউয়াছড়া বনের ভেতর দিয়ে ঢাকা-সিলেট রেলপথ গেছে। মাঝে মাঝে বনের ভেতর দিয়ে ট্রেন যেতে দেখা যায়, এটাও একটা সুন্দর দৃশ্য।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এর ছবি


এই ছবিগুলো দেখলে তুমি লাউয়াছড়ার সৌন্দর্য আর বৈচিত্র্য সম্পর্কে একটা ধারণা পাবে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এর ছবি গুলো দেখলেই ভ্রমণের আগ্রহ জাগবে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে রিভিউ
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে গিয়ে একেক জনের একেক রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানে কিছু মানুষের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হলো:
- ভালো রিভিউ:
- “লাউয়াছড়া খুবই সুন্দর একটা জায়গা। ঘন সবুজ বন, পাখির ডাক আর উল্লুক দেখতে পেয়ে খুব ভালো লেগেছে।”
- “পরিবারের সবাইকে নিয়ে লাউয়াছড়ায় গিয়েছিলাম। বাচ্চারা খুব মজা পেয়েছে। বনের ভেতর দিয়ে হাঁটাটা দারুণ ছিল।”
- “লাউয়াছড়ার প্রাকৃতিক দৃশ্য অসাধারণ। যারা ছবি তুলতে ভালোবাসে, তাদের জন্য এটা খুব ভালো জায়গা।”
- “আমরা গাইড নিয়েছিলাম। উনি আমাদের অনেক কিছু চিনিয়েছেন, জানিয়েছেন। গাইড নেয়াতে ভ্রমণটা আরো ভালো হয়েছে।”
- “পরিষ্কার পরিছন্ন পরিবেশ। কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা ভালো লেগেছে।”
- খারাপ রিভিউ:
- “ভেতরে ঢোকার টিকেট এর দামটা একটু বেশি মনে হয়েছে।”
- “ছুটির দিনে গেলে খুব ভিড় থাকে। শান্তিতে ঘোরার সুযোগ পাওয়া যায় না।”
- “বনের ভেতরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও ভালো করা দরকার।”
- “কিছু কিছু জায়গায় ময়লা দেখেছি।”
- “গাইডরা মাঝেমধ্যে বেশি টাকা চায়।”
- মোটামুটি রিভিউ:
- “লাউয়াছড়া সুন্দর, তবে আরও কিছু জিনিস ঠিক করা দরকার। ঘুরতে গেলে যেন মানুষের আরও সুবিধা হয়, সেই ব্যবস্থা করা উচিত।”
- “সবসময় বন্যপ্রাণী দেখা যায় না। তবে, সুন্দর প্রকৃতি দেখার জন্য জায়গাটা ভালো।”
সব মিলিয়ে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান খুবই সুন্দর আর আকর্ষনীয় একটি জায়গা। তবে, কিছু কিছু দিকে আরও উন্নতির প্রয়োজন আছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে রিভিউ গুলো পড়ে তুমি তোমার ভ্রমণের পরিকল্পনা সাজাতে পারো।
যেকোনো তথ্যের আপডেট সবার আগে জানার জন্য উত্তর বিডির সোসাল একাউন্টগুলো অনুসরণ করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।